১১৯৫ সালে ত্রিপুরার রাজা এক ধর্মযজ্ঞ আয়োজন করেন। উত্তর-পশ্চিম ভারতের কনৌজের ‘ইটোয়া’ নামক স্থান থেকে নিধিপতি শর্মাকে আনা হয় সেই যজ্ঞের কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য। নিধিপতি সে দায়িত্ব সুচারুরুপে পালন করার পর মহারাজা খুশি হয়ে তাকে ‘মনুকূল’ নামক বিশাল ভূখন্ড দান করেন।পরবর্তীতে নিধিপতি ইটোয়ার অধিবাসী হওয়ায় মনুকূল স্থানের নাম রাখেন ‘ইটা রাজ্য’।
নিধিপতি বাস করতেন ভূমিউড়া গ্রামে।তাঁরই পরবর্তী বংশধর ১.ভানু নারায়ন ২.ইন্দ্র নারায়ন ৩.ভানুমতি।১৫৪৫ খ্রি.ভানু নারায়ন ত্রিপুরার রাজা বিজয় মানিক্যর এক বিদ্রোহী সর্দার চন্দ্র সিংহকে পরাজিত করেন ও বন্দী করে মহারাজের নিকট প্রেরণ করেন। মহারাজ খুশি হয়ে ভানু নারায়নকে ‘রাজা’ উপাধি দান করেন।ভানু নারায়নই তাঁর রাজধানী ভুমিউড়া থেকে স্থানান্তর করেন ও এই এলাকার নাম রাখেন “রাজনগর”।ভানু নারায়নের ৫পুত্র – ১.সুবিদ নারায়ন ২.ব্রহ্ম নারায়ন ৩.ধর্ম নারায়ন ৪. বীরচন্দ্র নারায়ন ৫.রুপ নারায়ন।ভানু নারায়নের উত্তরাধীকার ‘সুবিদ নারায়নই’ ইটা রাজ্যের শেষ হিন্দু রাজা। ১৫৯৮ সালে খাজা ওসমানের সাথে এক যুদ্ধে সুবিদ নারায়ন পরাজিত ও নিহত হন। ভানু নারায়নের অপর উত্তরাধীকারী বন্দী হন ও পরবর্তীতে ধর্মান্তরিত হন।
ব্রিটিশ আমলে রাজনগর থানা হিসাবে ছিল।১৯৮৪ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস